মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

দেশের তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে ‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম

দেশের তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে ‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইন

জাগো ফাউন্ডেশন এবং টিকটকের যৌথ উদ্যোগে, ‘সাবধানে অনলাইনেক্যাম্পেইন, যা বাংলাদেশের তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করে, বছর এক মাইলফলক অর্জন করেছে। দেশজুড়ে ক্যাম্পেইনটি এক লক্ষেরও অধিক তরুণ-তরুণীকে অনলাইন নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে সক্ষম হয়।

২০২২ সালে প্রথমসাবধানে অনলাইনেক্যাম্পেইনটি যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের শেষের দিকে একটিইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর ট্রেনিং ক্যাম্পএর মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটির তৃতীয় ধাপ চালু হয়। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে মোট ১২৮ জন ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এই ট্রেনিং ক্যাম্পে অনলাইন নিরাপত্তা, টিকটক সেফটি টুলস এবং ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অ্যাম্বাসেডররা নিজ নিজ কমিউনিটিতে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত হন।

প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পর, দেশের ৬৪টি জেলায় ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করেন। প্রতিটি সেশনে প্রায় ৩০ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেন। এই সেশনগুলোতে অনলাইন হুমকি, ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার, এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এই কার্যক্রমগুলো দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্যাম্পেইনটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশনকর্মসূচি। ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা দেশজুড়ে ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন। এই ওয়ার্কশপটির মাধ্যমে প্রায় ,০০,০০০ শিক্ষার্থী অনলাইন নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারে।

ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন শেষে, ৮টি বিভাগেডিভিশনাল ফিডব্যাক সেশনঅনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা তাদের অভিজ্ঞতা, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ এবং মতামত তুলে ধরেন। এই সেশনগুলোর মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।

ক্যাম্পেইনের চূড়ান্ত পর্বটি ঢাকায় আয়োজিতন্যাশনাল অনলাইন সেফটি ডায়ালগএর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সরকারি প্রতিনিধি, গবেষক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরসহ নানান গুণীজন। অনলাইন নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ, ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আলোচনা করেন।

সাবধানে অনলাইনেক্যাম্পেইনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন "সাবধানে অনলাইনে ক্যাম্পেইন প্রমাণ করে যে তরুণরাই ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিতে পারে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তুলতে কাজ করছি।"

এছাড়াও, অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাগো ফাউন্ডেশন টিকটক আরও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রেস রিলিজ, অপিনিওন আর্টিকেল, SBCC কনটেন্ট, এবং বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক পোস্ট। এসব উদ্যোগ সাধারণ জনগণের মাঝে অনলাইন নিরাপত্তা সাইবার অ্যাটাক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

সাবধানে অনলাইনেক্যাম্পেইন বাংলাদেশের তরুণদের ডিজিটাল জগতে নিরাপদ সচেতনভাবে চলার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান দক্ষতা প্রদান করেছে। জাগো ফাউন্ডেশন, টিকটক এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, বাংলাদেশ এখন একটি ডিজিটালভাবে সচেতন এবং নিরাপদ সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ শুধু বর্তমান প্রজন্মকে সুরক্ষিত করছে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তুলছে।