রূপগঞ্জে রবিন টেক্স গার্মেন্টসে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রমিকরা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এসময় আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সেনাকর্মকর্তা, পুলিশ, শ্রমিকসহ আহত হয়েছে ৫০ জন। আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউখাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গার্মেন্টের শ্রমিক ও পুলিশ জানান, ঈদের ছুটি দেওয়ার সময় বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস না দিয়ে রবিনটেক্স গার্মেন্টসের ১২০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে ৮ এপ্রিল শ্রমিকরা কারখানায় কাজের জন্য প্রবেশ করতে গিয়ে জানতে পারে ১২০ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে টানা ৩য় দিনের মত বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে ছাটাইয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে। বেলা ১২ টারদিকে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী, পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে শ্রমিকরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর চড়াও হয়। উভয়ে মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শ্রমিকদের চাকুরীতে পূ্র্নবহাল রাখতে বিক্ষোভ করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে
সেনাবাহিনীর ল্যাফটেন্যান্ট মবিন, সদস্য সোহরাব, বাধন, মেহেদি, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউরসহ কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় ৭ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে শ্রমিক অসন্তোষের কারনে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের উভয়দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিকাল সোয়া ৩ টারদিকে সড়কে যানচলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। শ্রমিকদের দাবীতে বিষয়ে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষেন ঘটনা ঘটেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শ্রমিকদের হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জন আটক করা হয়েছে।