নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওয়তাধীন খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোট খাতা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত তিস্তা নদীর পাড় ঘেষে নির্মিত সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বর্ষার সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় দুই কি. মি দৈর্ঘ্যের এই সড়কটির অন্তত পাঁচ জায়গায় ধ্বসে পড়েছে ।
অভিযোগ রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় এমন বেহাল দশা হয়েছে সড়কটির। এলাকাবাসী একাধিক বার মৌখিক অভিযোগ দিয়ে সংস্কার হয়নি সড়কটি। অস্থায়ী ভাবে কয়েক ট্রলি বালু দিয়ে দায়সারা কাজ সারে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে সড়কটির সংস্কার কাজ। স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে সড়কটির সংস্কার চায় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা চৌপথির ভেতরে দিয়ে সড়কটি প্রায় দুই কিলোমিটার গিয়ে তিস্তা ব্যারেজের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। উভয় পাশেই পাকা রাস্তার সাথে সংযুক্ত এই সড়কটির অন্তত পাঁচ জায়গায় ভাঙ্গা। বর্ষার সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের বালিগুলো ধুয়ে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এইসব ভাঙ্গা অংশের পাশ দিয়ে ভ্যান ও অটো চলাচল এবং বিভিন্ন কৃষি পণ্য পরিবহনে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। বিভিন্ন ভাঙা অংশে ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা। রাতের অন্ধকারে চলাচলে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা জায়গায় পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন।
ছোটখাতা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, এই রাস্তায় চলেচলে আমাদের খুবই অসুবিধা হয়। এই বর্ষায় অনেক বালি ধুয়ে গেছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বলেছি তারা দেখেছে তাও ঠিক করেনি। এই রাস্তায় ভ্যান, অটো ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। আমাদের কৃষিপণ্য পরিবহনে সমস্যা হয়। আমরা এই রাস্তার দ্রুত সংস্কার চাই।
একই এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত রায় বলেন, রাস্তাটা বর্ষার ভেঙ্গে গেছে ঠিক করতেছে না। আর যদিও ঠিক করে দুই এক ট্রলি বালি দিয়ে চুপচাপ থাকে। আমরা এখানে ধান নিতে পারছি না গাড়ি যাতায়াতে সমস্যা হয়। প্রতি বছরই রাস্তাটা ভেঙ্গে যায় অনেকেই অনেক অভিযোগ দিয়েছে তারা ঠিক করে না। আমরা দাবি জানাই রাস্তাটা দ্রুত সংস্কার করা হোক।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জিয়ারুল ইসলাম জিয়া বলেন, এই রাস্তাটি অনেক জায়গায় ভাঙ্গা, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে এই অঞ্চলের মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তা দিয়ে কৃষি পণ্য পরিবহনে অনেকে সমস্যার স্বীকার হচ্ছে। তাছাড়াও ভাঙ্গা অংশে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা রাস্তাটি সংস্কার করলে এই এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হবে।
খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার বলেন, রাস্তাটি কয়েক জায়গায় বর্ষার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। নিলামের মাধ্যেমে কাজ হয়। গতবছর আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বললে তারা সংস্কার করেছিলো বর্ষায় আবারো ভেঙে গেছে। আমি আবারো পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে রাস্তাটি সংস্কার করতে বলবো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা এখনও কোনো বরাদ্দ পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বরাদ্দ পেলে আমরা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে উদ্যোগ নিবো।